পতিতাবৃত্তি আসলে খারাপ কিছু নয়। বরং এটা মানবসমাজের সবচেয়ে পুরনো পেশা। যুগে যুগে এই পেশার সাথে অনেক মহিয়সী মহিলার নাম জড়িয়ে আছে, যদিও অনেকেই আবার পতিতাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন, এটা স্বীকার করেন না। আগে মানুষ মানহানীর ভয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে এইসব কাজ করতো। গত আওয়ামী শাসনামলে এই পতিতাবৃত্তি বাংলাদেশে তার স্বর্ণযুগ পার করছিলো।
কোনও আওয়ামী নেতার রক্ষিতা হওয়া ছিলো কারও জন্য আমেরিকার DV ভিসা। এই রক্ষিতাগুলো এমন ভাবে তাদের প্রফেশন নিয়ে গর্ব করতো, দেখে মনেই হতো না যে তারা কোনও অসামাজিক কাজ করছে। বরং অন্য মেয়েদের এরা এমন ফীল করাতো যেন এই মেয়েরা পতিতাবৃত্তি না করে অনেক বড় ভুল করছে, সমাজে অনেক পিছিয়ে পড়েছে।
এরিসা এমনই একটা তৃতীয় শ্রেণীর মেয়ে।
পেট চালাতে পতিতাবৃত্তি খারাপ কিছু নয়। বেঁচে থাকতে আপনি সামনে দিয়ে নেন বা পিছন দিয়ে নেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর। কিন্তু যখন আপনি পতিতাবৃত্তির ক্ষমতায় সমাজে এর-ওর গায়ে গুতা দিবেন তখন কি আর চুপ করে থাকা যায়... তখন তো কাউকে না কাউকে এগিয়ে এসে চোখে আঙুল তাক করে বলতেই হবে, "মাগী থাম, তোর মতো মাগী গুনার টাইম নাই!"
একে তো তৃতীয় শ্রেণির পতিতা কিন্তু এমন ভাবে মানুষকে এই মেয়েটা ট্রিট করে যেন বাকি সব মেয়েও পতিতা, আর সে হলো পতিতাপল্লীর সর্দারনী!
সম্প্রতি এরিসা আত্মপক্ষ সমর্থণ করতে গিয়ে একুশে টিভিতে বলেছে যে সে তারেক রহমান বা বিএনপিকে নিয়ে কিছু বলেনি, যেই স্ক্রিনশট গুলো ভাইরাল হয়েছে সেইগুলো নাকি বানোয়াট। চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমাদের কাছে সেই মেসেজগুলোর স্ক্রিন ভিডিও করা আছে। আমরা কখনোই ওবায়দুল কাদেরের ধোন চুষা কোনও মাগীকে আবার বিএনপির ক্ষমতা ব্যবহার করার সুযোগ দিবো না। আমরা জানি এই মাগী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কিভাবে আওয়ামী লীগ সময়ে সবাইকে হেয় করতো।
৫ই আগস্টের পর এরিসা মূলত বুঝতে পারছিলো না সে কোন দলে যাবে, সমন্বয়ক-পার্টি তখন এখন আলোচিত থাকায় সেও সমন্বয়ক হতে ভালোই দৌড়াদৌড়ি করে, কিন্তু তার ইউনিভার্সিটির সমন্বয়কদের সাথে আওয়ামী দালালি করা নিয়ে তার ভালোই ক্যাচাল লেগেছিলো, তাই সে সমন্বয়ক হওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে বিএনপির পিছনে দৌড় শুরু করে...
দেশের মানুষ অনেক কষ্ট করে হাসিনাকে বিদায় করেছে, আর এই সুযোগে হাসিনার প্রভাব খাটানো কিছু মাগী জাস্ট খাট পরিবর্তন করে এখনও মানুষকে শোষণ করবে সেটা হবে না...
আরে না ভাই, এরিসার মতো মেয়েরা মূলত ছবির রাজনীতি করে, নেতাদের সাথে ছবি তুলে সেই ছবি দেখি ধান্দা করার এদের কাজ। আসল কাহিনি বলি শুনেন।
২০২৩ সালে টানা তিন বার বিএনপি ক্ষমতায় আসতে ব্যর্থ হওয়ার পর, সামনে নির্বাচন। অন্য সময়ের তুলনায় বিএনপি তখন অনেক ভালো অবস্থানে ছিলো, আওয়ামী অপশাসনে জনগণ বিএনপিকে ভালোই সমর্থন দিচ্ছিলো, আর এটা তো জানা কথা, মোটামোটি একটা সুষ্ঠ নির্বাচন হলে বিএনপিই জিতে যেত।
তো এমন অবস্থায় অনেক পল্টিবাজই সেফ সাইডে থাকতে তরুণ্যের সমাবেশে এসেছিলো ছবি তুলে রাখতে। এরা আবার ২৮শে অক্টোবরের পরে গায়েব... আপনাদের সর্দারনী এরিসাও এমনই একজন...তরুণ্যের সমাবেশের ২টা ছবি এমন ভাবে সব জায়গায় দেখায় কি আর বলবো, পারলে বইলেন তো ২৮শে অক্টোবরের পরের একটা ছবি দেখাতে...
১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকায় বিএনপির অনেক নেতার মাঝেই অনেক ক্ষুদা। অনেকের টাকা বা ক্ষমতার পাশাপাশি একটা দুষ্ট ক্ষুদা আছে, আর সেটা হলো মাগীর ক্ষুদা! আর মাগীটা যদি হয় ওবায়দুল কাদেরের মতো হাইপ্রোফাইল কোনও নেতার খাওয়া, তাহলে আবার না খেয়ে কিভাবে থাকে... শালারা এই মাগীকে খেয়ে রাজনৈতিক আড্ডায় বুক ফুলিয়ে বলে বেড়ায়, "ওবায়দুল কাদেরের মাল খাইয়া দিছি!"


